হদিশ |
আমি সৈনিক, হাঁটি যুগ থেকে যুগান্তরে প্রভাতী আলোয়, অনেক ক্লান্ত দিনের পরে, অজ্ঞাত এক প্রাণের ঝড়ে । বহু শতাব্দী ধরে লাঞ্ছিত, পাই নি ছাড়া বহু বিদ্রোহ দিয়েছে মনের প্রান্ত নাড়া তবু হতবাক্ দিই নি সাড়া । আমি সৈনিক, দাসত্ব কাঁধে যুদ্ধে যেতে দেখেছি প্রাণের উচ্ছ্বাস দূরে ধানের ক্ষেতে তবু কেন যেন উঠি নি মেতে । কত সান্ত্বনা খুঁজেছি আকাশে গভীর নীলে শুধু শূন্যতা এনেছে বিষাদ এই নিখিলে মূঢ় আতঙ্ক জন–মিছিলে । ক্ষতবিক্ষত চলেছি হাজার, তবুও একা সামনে বিরাট শত্রু পাহাড় আকাশ–ঠেকা কোন সূর্যের পাই নি দেখা । |
অনেক রক্ত দিয়েছি বিমূঢ় বিনা কারনে বিরোধী স্বার্থ করেছি পুষ্ট অযথা রণে ; সঙ্গীবিহীন প্রাণধারণে । ভীরু সৈনিক করেছি দলিত কত বিক্ষোভ ইন্ধন চেয়ে যখনি জ্বলেছে কুবেরীর লোভ দিয়েছি তখনি জন–খাণ্ডব ! একদা যুদ্ধ শুরু হল সারা বিশ্ব জুড়ে, জগতের যত লুন্ঠনকারী আর মজুরে, চঞ্চল দিন ঘোড়ার খুরে । উঠি উদ্ধত প্রাণের শিখরে, চারিদিকে চাই এল আহ্বান জন–পুঞ্জের শুনি রোশনাই দেখি ক্রমাগত কাছে উৎরাই । হাতছানি দিয়ে গেল শস্যের উন্নত শীষ, জনযাত্রায় নতুন হদিশ— সহসা প্রাণের সবুজে সোনার দৃঢ় উষ্ণীষ॥ |