মার্শাল তিতোর প্রতি |
কমরেড, তুমি পাঠালে ঘোষণা দেশান্তরে, কুটিরে কুটিরে প্রতিধ্বনি,— তুলেছে মুক্তি দারুণ তুফান প্রাণের ঝড়ে তুমি শক্তির অটুট খনি৷ কমরেড, আজ কিষাণ শ্রমিক তোমার পাশে তুমি যে মুক্তি রটনা করো, তারাই সৈন্য : হাজারে হাজারে এগিয়ে আসে তোমার দু’পাশে সকলে জড়ো৷ হে বন্ধু, আজ তুমি বিদ্যুৎ অন্ধকারে সে আলোয় দ্রুত পথকে চেনা : সহসা জনতা দৃপ্ত গেরিলা—অত্যাচারে, দৃঢ় শত্রুর মেটায় দেনা৷ তোমার মন্ত্র কোণে কোণে ফেরে সংগোপনে পথচারীদের ক্ষিপ্রগতি; মেতেছে জনতা মুক্তির দ্বার উদঘাটনে : —ভীরু প্রস্তাবে অসম্মতি৷ ফসলের ক্ষেতে শত্রু রক্ত-সেচন করে, মৃত্যুর ঢেউ কারখানাতে— তবুও আকাশ ভরে আচমকে আর্তস্বরে : শত্রু নিহত স্তব্ধ রাতে৷ প্রবল পাহাড়ে গোপন যুদ্ধ সঞ্চারিত দৃঢ় প্রতিজ্ঞা মুখর গানে, বিপ্লবী পথে মিলেছে এবার বন্ধু তিতো : মুক্তির ফৌজ আঘাত হানে৷ শত্রু শিবিরে লাগানো আগুনে বাঁধন পোড়ে —অগ্নি ইশারা জনান্তিকে! ধ্বংসস্তূপে আজ মুক্তির পতাকা ওড়ে ভাঙার বন্যা চতুর্দিকে৷ নামে বসন্ত, পাইন বনের শাখায় শাখায় গাঢ়-সংগীত তুষারপাতে, অযুত জীবন ঘনিষ্ঠ দেহে সামনে তাকায় : মারণ-অস্ত্র সবল হাতে৷ লক্ষ জনতা রক্তে শপথ রচনা করে— ‘আমরা নই তো মৃত্যুভীত, তৈরি আমরা; যুগোশ্লাভের প্রতিটি ঘরে তুমি আছ জানি বন্ধু তিতো৷’ তোমার সেনানী পথে প্রান্তরে দোসর খোঁজে : ‘কোথায় কে আছ মুক্তিকামী?’ ক্ষিপ্ত করেছে তোমার সে ডাক আমাকেও যে তাইতো তোমার পেছনে আমি॥ |