পত্র |
কাশী গিয়ে হু হু ক’রে কাটলো কয়েক মাস তো, কেমন আছে মেজাজ ও মন, কেমন আছে স্বাস্থ্য? বেজায় রকম ঠাণ্ডা সবাই করছে তো বরদাস্ত? খাচ্ছে সবাই সস্তা জিনিস, খাচ্ছে পাঁঠা আস্ত? সেলাই কলের কথাটুকু মেজদার দু’কান স্পর্শ ক’রে গেছে বলেই আমার অনুমান৷ ব্যবস্থাটা হবেই, করি অভয় বর দান; আশা করি, শুনে হবে উল্লসিত প্রাণ৷ এতটা কাল ঠাকুর ও ঝি লোভ সামলে আসতো, এবার বুঝি লোভের দায়ে হয় তারা বরখাস্ত৷ চারুটাও হয়ে গেছে বেজায় বেয়াড়া, মাথার ওপরে ঝোলে যা খুশির খাঁড়া৷ নতেদা’র বেড়ে গেছে অঙ্গুলি হাড়া, ঘেলুর পরীক্ষাও হয়ে গেছে সারা; এবার খরচ ক’রে কিছু রেল-ভাড়া মাতিয়ে তুলতে বলি রামধন পাড়া৷ এবার বোধহয় ছাড়তে হল কাশী, ছাড়তে হল শৈলর মা, ইন্দু ও ন’মাসি৷ দুঃখ কিসের, কেউ কি সেথায় থাকে বারোমাসই? কাশী থাকতে চাইবে তারা যারা স্বর্গবাসী, আমি কিন্তু কলকাতাতেই থাকতে ভালবাসি৷ আমার যুক্তি শুনতে গিয়ে পাচ্ছে কি খুব হাসি? লেখা বন্ধ হোক তা হলে, এবার আমি আসি॥ |