সূচনা |
ভারতবর্ষে পাথরের গুরুভার : এহেন অবস্থাকেই পাষান বলো, প্রস্তরীভূত দেশের নীরবতার একফোঁটা নেই অশ্রুও সম্বলও । অহল্যা হল এই দেশ কোন্ পাপে ক্ষুধার কান্না কঠিন পাথরে ঢাকা, কোনো সাড়া নেই আগুনের উত্তাপে এ নৈঃশব্দ্য ভেঙেছে কালের চাকা । ভারতবর্ষ ! কার প্রতীক্ষা করো, কান পেতে কার শুনছ পদধ্বনি ? বিদ্রোহে হবে পাথরেরা থরোথরো, কবে দেখা দেবে লক্ষ প্রাণের খনি ? ভারতী, তোমার অহল্যারূপ চিনি রামের প্রতীক্ষাতেই কাটাও কাল, যদি তুমি পায়ে বাজাও ও–কিঙ্কিনী, তবে জানি বেঁচে উঠবেই কঙ্কাল। |
কত বসন্ত গিয়েছে অহল্যা গো— জীবনে ব্যর্থ তুমি তবু বার বার, দ্বারে বসন্ত, একবার শুধু জাগো দুহাতে সরাও পাষাণের গুরুভার । অহল্যা–দেশ, তোমার মুখের ভাষা অনুচ্চারিত, তবু অধৈর্যে ভরা ; পাষাণ ছদ্মবেশকে ছেঁড়ার আশা ক্রমশ তোমার হৃদয় পাগল করা । ভারতবর্ষ, তন্দ্রা ক্রমশ ক্ষয় অহল্যা ! আজ শাপমোচনের দিন ; তুষার–জনতা বুঝি জাগ্রত হয়— গা–ঝাড়া দেবার প্রস্তাব দ্বিধাহীন । অহল্যা, আজ কাঁপে কী পাষাণকায় ! রোমাঞ্চ লাগে পাথরের প্রত্যঙ্গে ; রামের পদস্পর্শ কি লাগে গায় ? অহল্যা, জেনো আমরা তোমার সঙ্গে॥ |