Illustration: Bimal Das. |
গানের গুঁতো |
গান জুড়েছেন গ্রীষ্মকালে ভীষ্মলোচন শর্মা । আওয়াজখানা দিচ্ছে হানা দিল্লী থেকে বর্মা ! গাইছে ছেড়ে প্রাণের মায়া, গাইছে তেড়ে প্রাণপণ, ছুটছে লোকে চারদিকেতে ঘুরছে মাথা ভন্ভন্ । মরছে কত জখম হয়ে করছে কত ছট্ফট্— বলছে হেঁকে, "প্রাণটা গেল, গানটা থামাও ঝট্পট্ ।" বাঁধন–ছেঁড়া মহিষ ঘোড়া পথের ধারে চিৎপাত ; ভীষ্মলোচন গাইছে তেড়ে নাইকো তাহে দৃকপাত । চার পা তুলি জন্তুগুলি পড়ছে বেগে মূর্ছায়, লাঙ্গুল খাড়া পাগল পারা বলছে রেগে "দূর ছাই !" জলের প্রাণী অবাক মানি গভীর জলে চুপচাপ্, গাছের বংশ হচ্ছে ধংস পড়ছে দেদার ঝুপ্ঝাপ্ । শূন্য মাঝে ঘূর্ণা লেগে ডিগবাজি খায় পক্ষী, সবাই হাঁকে, "আর না দাদা, গানটা থামাও লক্ষ্মী ।" গানের দাপে আকাশ কাঁপে দালান ফাটে বিলকুল, ভীষ্মলোচন গাইছে ভীষণ খোশমেজাজে দিল্ খুল্ । এক যে ছিল পাগলা ছাগল, এমনি সেটা ওস্তাদ, গানের তালে শিং বাগিয়ে মারলে গুঁতো পশ্চাৎ । আর কোথা যায় একটি কথায় গানের মাথায় ডাণ্ডা, 'বাপরে' বলে ভীষ্মলোচন এক্কেবারে ঠাণ্ডা । |