কুমড়োপটাশ |
(যদি) কুম্ড়োপটাশ নাচে— খবরদার এসো না কেউ আস্তাবলের কাছে ; চাইবে নাকো ডাইনে বাঁয়ে চাইবে নাকো পাছে ; চার পা তুলে থাকবে ঝুলে হট্টমূলার গাছে । (যদি) কুম্ড়োপটাশ কাঁদে— খবরদার ! খবরদার ! বসবে না কেউ ছাদে ; উপুড় হয়ে মাচায় শুয়ে লেপ কম্বল কাঁধে, বেহাগ সুরে গাইবে খালি 'রাধে কৃষ্ণ রাধে !' (যদি) কুম্ড়োপটাশ হাসে— থাকবে খাড়া একটি ঠ্যাঙে রান্নাঘরের পাশে ; ঝাপসা গলায় ফার্সি কবে নিশ্বাসে ফিস্ফাসে ; তিনটি বেলা উপোস করে থাকবে শুয়ে ঘাসে ! |
Illustration: Bimal Das. |
(যদি) কুম্ড়োপটাশ ছোটে— সবাই যেন তড়বড়িয়ে জানালা বেয়ে ওঠে ; হুঁকোর জলে আলতা গুলে লাগায় গালে ঠোঁটে ; ভুলেও যেন আকাশ পানে তাকায় না কেউ মোটে ! (যদি) কুম্ড়োপটাশ ডাকে— সবাই যেন শ্যামলা এঁটে গামলা চড়ে থাকে ; ছেঁচকি শাকের ঘন্ট বেটে মাথায় মলম মাখে ; শক্ত ইঁটের তপ্ত ঝামা ঘষতে থাকে নাকে । তুচ্ছ ভেবে এ–সব কথা করছ যারা হেলা, কুম্ড়োপটাশ জানতে পেলে বুঝবে তখন ঠেলা । দেখবে তখন কোন্ কথাটি কেমন করে ফলে, আমায় তখন দোষ দিও না, আগেই রাখি বলে । |